ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত দুই হাজার মার্কিন সেনাা


 ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংঘাতের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পেয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনীকে সমরাস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে ওয়াশিংটন। ইসরায়েল ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে মার্কিন রণতরি, যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান। এ তৎপরতার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এবার সেনাসদস্য প্রস্তুত কতরেছে

হোয়াইট হাউসের ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত দুই হাজার মার্কিন সেনা ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে তাঁদের মোতায়েনের কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি।

এর আগে বিষয়টি নিয়ে জানাশোনা আছে, এমন মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন প্রায় দুই হাজার সেনাকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। তাঁদেরকে ইসরায়েলে চিকিৎসা ও লজিস্টিক সহায়তার জন্য মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এই মার্কিন সেনাদের সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় মোতায়েন করা হবে, তা জানাননি ওই মার্কিন কর্মকর্তারা। এক কর্মকর্তা শুধু এটুকুই বলেছেন যে তাঁদের ইসরায়েলের দক্ষিণ উপকূলে পাঠানো হবে। তাঁরা অবশ্য হামাসের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ে অংশ নেবেন না।

কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে ইরান ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে বার্তা পাঠাতে চাইছে। ওয়াশিংটন চায় না, ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বাইরে ছড়িয়ে পড়ুক। তবে এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন ওই কর্মকর্তারা।

এর আগে সংঘাত শুরুর পরপরই পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ডসহ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। এ অঞ্চলের আকাশে মার্কিন যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে আরও একটি রণতরি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, গোলাবারুদসহ নানা মার্কিন অস্ত্র।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। পাল্টাপাল্টি হামলার শুরু থেকেই হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান। এদিকে লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। পাল্টা হামলা চালিয়ে এর জবাব দিচ্ছে ইসরায়েল। লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানকার গ্রামগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বেসামরিক ইসরায়েলিদের।

Post a Comment

Previous Post Next Post